PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর? এই বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বর্তমান সময়ে চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন এর মত সমস্যা গুলো দূর করার জন্য PRP থেরাপি খুবই জনপ্রয়তা লাভ করছে।
PRP থেরাপি হচ্ছে এমন এক থেরাপি যেখানে রোগীর নিজের রক্ত থেকে প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা আলাদা করে তা চুলের গোড়ায় ইনজেকশন দেওয়া হয়। চুল পড়া সমাধানে এই চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নত দেশ গুলোতে করা হলেও বর্তমানে রাজশাহীতে এই চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর?
- PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর?
- চুল কেন পড়ে যায় এবং চুল পড়ার কিছু কার্যকর চিকিৎসা
- জয়েন্ট পেইন কি এবং জয়েন্ট পেইন ভালো করার চিকিৎসা
- PRP থেরাপি কি এবং এই থেরাপি কিভাবে কাজ করে
- চুল পড়া রোধে PRP থেরাপি কতটা কার্যকর?
- PRP থেরাপি করার আগে যেসকল বিষয় জানতে হবে
- PRP থেরাপির করার পর কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়?
- রাজশাহীতে PRP থেরাপি করতে কত টাকা খরচ হয়?
- PRP থেরাপির ফলাফল কত দিনে পাওয়া যায়?
- পরিশেষেঃ PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর?
PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর?
PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর? এই বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বর্তমান সময়ে চুল পড়া সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। মানুষের চুল পড়ে যায় আবার নতুন ভাবে গজিয়ে থাকে এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু আপনার চুল যদি নিয়মিত পড়ে যায় কিন্তু সেই পড়ে যাওয়া চুলের স্থানে নতুন চুল না গজায় তাহলে এটি একটি সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে একজন মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়ে যায় এবং অন্যদিকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ থেকে ১০০টি নতুন চুল গজায়। তবে আপনার যদি নিয়মিত এই পরিমাণ চুল পড়ে যায় ঠিকই কিন্তু নতুন ভাবে গজায় না আর এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এক সময় মাথায় চুলের পরিমাণ কমে যায় এবং মাথায় টাক পড়ার মত সমস্যা দেখা যায়।
আবার অপর দিকে আমরা অনেক সময় জয়েন্ট পেইনের মত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। এই জয়েন্ট পেইন হওয়ারও অনেক কারণ রয়েছে। এখন যদি অল্প ভাষায় বিজ্ঞান সম্মত ভাবে বলা যায় তাহলে জয়েন্ট পেইন হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ওস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এই দুই উপাদান সন্ধির কার্টিলেজ ক্ষয় করে জয়েন্ট ব্যথার সৃষ্টি করে। এছাড়াও হঠাৎ আঘাত পাওয়া, জয়েন্ট গুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়া, সন্ধির হাড় ও কার্টিলেজ দুর্বল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। এটি সাধারণত সবচেয়ে বেশি হয় বয়স্ক মানুষদের। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সন্ধির হাড় ও কার্টিলেজ দুর্বল হয়ে গিয়ে জয়েন্টে ব্যথা তৈরি করতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজেই সন্ধিকে আক্রমণ করে একটি দীর্ঘস্থায়ি জয়েন্ট ব্যথা সৃষ্টি করে থাকে।
চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে PRP থেরাপি। এই থেরাপি দেওয়ার জন্য প্রথমে রোগীর শরীর থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত বের করে নেওয়া হয়। তারপর এই রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করে নেওয়া হয়। এরপর রক্তের এই প্লাজমাকে মাথার ত্বকে ইনজেকশন দেওয়া হয় যেখানে চুলের ফলিকলগুলো দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এরফলে চুলের যে ফলিক গুলো দূর্বল হয়ে গিয়েছিলো সেগুলো এই প্লাজমার কারণে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এরফলে চুল পড়া সমস্যা দূর হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ঠিক একইভাবে যেসব জয়েন্টে ব্যথা বা প্রদাহ রয়েছে সেখানে এই প্লাজমা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়ার ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত টিস্যু গুলো পুনরায় জীবিত হতে সাহায্য করে এবং ধীরে ধীরে জয়েন্ট পেইন দূর হয়ে যায়।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে PRP থেরাপি কতটা কার্যকর। এখন আমরা জানবো PRP থেরাপি রাজশাহীতে কোথায় কোথায় এই চিকিৎসা করা হয়। এক সময় এই চিকিৎসা করার জন্য ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহর গুলোতে যাওয়া লাগতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে রাজশাহী শহরে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক PRP থেরাপি অভিজ্ঞতার সাথে দিয়ে আসছে। এখন আমরা রাজশাহী শহরের কিছু জনপ্রিয় PRP থেরাপি সেন্টার গুলো সম্পর্কে জানবো।
- রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
- ডাঃ আলমগীর রেজা স্কিন অ্যান্ড সেক্স রিসার্চ সেন্টার।
- পেইনএইড সেন্টার, রাজশাহী।
চুল কেন পড়ে যায় এবং চুল পড়ার কিছু কার্যকর চিকিৎসা
সাধারণত চুল কোন নির্দিষ্ট একটি কারণে পড়ে যায় না বরং চুল পড়ার অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে প্রধান যে কারণ গুলো সেগুলো নিয়ে এখন সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে। প্রথমত চুল পোড়ার যে কারণ সেটি হচ্ছে হরমোনজনিত সমস্যা। বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন বাড়লে হেয়ার ফলিকল দুর্বল হয়ে যায় যার ফলে চুল পড়া শুরু হয়। এরপর যে কারণ সেটি হচ্ছে বংশগত কারণ। অর্থাৎ আপনার পরিবারের কারোও যদি চুল পড়ার মত সমস্যা ইতিমধ্যে থেকে থাকে তাহলে এই সমস্যা আপনার মধ্যেও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পুষ্টির ঘাটতি ও মানসিক চাপকেও চুল পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
আরোও পড়ুনঃ দ্রুত হজম শক্তি বাড়ানোর ৫টি কার্যকর উপায়
এখন আমরা চুল পড়ার কিছু কার্যকর চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো। চুল পড়া সমস্যা সমাধানে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা সব চেয়ে বেশি প্রচলিত সেটি হচ্ছে PRP এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিজের রক্ত থেকে প্লেটলেট সংগ্রহ করে মাথার ত্বকে ইনজেকশন দেওয়া হয় এর ফলে চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এরপর চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে জনপ্রিয় একটি চিকিৎসা হচ্ছে মিনোক্সিডিল। মিনোক্সিডিল মূলত একটি চুলের সিরাম যা চুলে লাগানোর পর চুলের ফলিক গুলো অ্যাক্টিভ করে চুল পড়া রোধ করে। এছাড়াও চুল পড়ার চিকিৎসায় জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতি গুলো হচ্ছে ফিনাস্টারাইড, হেয়ার গ্রোথ সাপ্লিমেন্ট এবং লেজার থেরাপি। উপরের এই চিকিৎসা পদ্ধতি ছাড়াও আরোও অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে চুল পড়া সমস্যা সমাধানের জন্য।
জয়েন্ট পেইন কি এবং জয়েন্ট পেইন ভালো করার চিকিৎসা
সাধারণত জয়েন্ট পেইন বা সন্ধি ব্যথা একটি নির্দিষ্ট কারণে হয় না বরং এটি হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করে থাকে। মানুষের শরীরের হাড়গুলো যেখানে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে সেই স্থানকে জয়েন্ট বা সন্ধি বলা হয় এবং এই জায়গাগুলোতে ব্যথা হলে সেটিই জয়েন্ট পেইন হিসেবে ধরা হয়। জয়েন্ট পেইনের পেছনে প্রধান যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রথমত উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হলো অস্টিওআর্থ্রাইটিস। এটি মূলত বয়সজনিত সমস্যা যেখানে হাড়ের সংযোগস্থলে থাকা কার্টিলেজ ক্ষয় হয়ে গিয়ে ব্যথা তৈরি করে। এরপর আরেকটি বড় কারণ হলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস যেটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের সমস্যার কারণে হয় এবং এতে সন্ধিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। জয়েন্ট পেইনের পেছনে অতিরিক্ত ওজন, হঠাৎ আঘাত, এমনকি অতিরিক্ত পরিশ্রম কিংবা দীর্ঘ সময় এক ভঙ্গিতে বসে থাকাও অন্যতম কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা মনে করে থাকেন।
এখন আমরা জয়েন্ট পেইন ভালো করার কিছু কার্যকর চিকিৎসা সম্পর্কে জানবো। জয়েন্ট পেইন কমাতে বর্তমানে যে চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো সবচেয়ে বেশি প্রচলিত তার মধ্যে একটি হচ্ছে PRP থেরাপি। এই চিকিৎসায় নিজের রক্ত থেকে প্লেটলেট সংগ্রহ করে ব্যথার স্থানে ইনজেকশন দেওয়া হয় যা জয়েন্টে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে টিস্যু পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেয়। এরপর আরেকটি কার্যকর চিকিৎসা হচ্ছে পেইন ম্যানেজমেন্ট, যেখানে ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে প্যারাসিটামল বা NSAIDs জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও জয়েন্ট পেইনের চিকিৎসায় জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ফিজিওথেরাপি, স্টেরয়েড ইনজেকশন, হট অ্যান্ড কোল্ড থেরাপি এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ। উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম জয়েন্ট পেইনের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
PRP থেরাপি কি এবং এই থেরাপি কিভাবে কাজ করে
বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই PRP থেরাপি কিছুটা নতুন মনে হতে পারে। তাই আজকে আমরা এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। PRP থেরাপি এর পূর্ন্রুপ হচ্ছে Platelet Rich Plasma বা বাংলায় প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা বলা হয়ে থাকে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর নিজের রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করে সেটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চুলের সমস্যা হলে চুলের গোড়ায় এবং জয়েন্ট পেইন এর জন্য ব্যথা যুক্ত জয়েন্টে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই চিকিৎসার ফলে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে সেই সাথে জয়েন্ট পেইন কমানো এবং ত্বকের সমস্যা দূর হয়।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি করার জন্য সাধারণত প্রথমে রোগীর শরীর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত বের করে নেওয়া হয়। এরপর এই রক্তকে একটি বিশেষ যন্ত্রে ঘূর্ণন করানো হয় যাতে রক্তের বিভিন্ন উপাদান আলাদা হয়ে যায়। এরপর এখান থেকে রক্তের প্লেটলেটসমৃদ্ধ প্লাজমা আলাদা করে নেওয়া হয়। এটি আলাদা করে নেওয়ার পর ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরের যে অংশে চিকিৎসা দরকার যেমন চুল পড়ার ক্ষেত্রে মাথার স্ক্যাল্পে, জয়েন্ট পেইনের ক্ষেত্রে হাঁটু বা কাঁধে প্রয়োগ করা হয়। এরফলে জায়গায় রক্তসঞ্চালন বাড়ে, কোষ পুনর্গঠন হয়, ব্যথা কমে এবং চুল বা টিস্যু পুনরায় গঠন করতে সহায়তা করে থাকে। মূলত শরীরের ক্ষত সারাতে এবং নতুন কোষ গঠনের জন্য রক্তের প্লেটলেট গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে।
চুল পড়া রোধে PRP থেরাপি কতটা কার্যকর?
চুল পড়া রোধে PRP থেরাপি বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। এই থেরাপিতে রোগীর নিজের রক্ত থেকে প্লেটলেট সংগ্রহ করে মাথার ত্বকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। প্লেটলেট সমৃদ্ধ এই রক্ত চুলের ফলিকলগুলোকে সক্রিয় করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে যাদের চুল পাতলা হয়ে গেছে বা চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য এটি একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। অনেকেই ৩টি থেকে ৪টি সেশনের পর চুলের ঘনত্বে উন্নতি লক্ষ্য করতে পারেন।
তবে PRP থেরাপির কার্যকারিতা নির্ভর করে রোগীর বয়স, হরমোন ব্যালান্স ও চুল পড়ার কারণের উপর নির্ভর করে। যাদের হেয়ার ফলিকল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে এটি তেমন কার্যকর নাও হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সেশন এবং সঠিক ডায়েট অনুসরণ করার ফলে চুল পড়া সমস্যা তাড়াতাড়ি সমাধান হতে পারে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং নিরাপদ পদ্ধতি হওয়ায় অনেকেই চুলের সমস্যার জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে চুল পড়া রোধে PRP থেরাপি একটি কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে।
PRP থেরাপি করার আগে যেসকল বিষয় জানতে হবে
PRP থেরাপি করার আগে অনেক গুলো বিষয় আছে যেগুলো আপনার জানা উচিত। কেননা এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে আপনার রক্ত নিয়ে সেখান থেকে রক্তের প্লাজমা আলাদা করে যেহেতু চিকিৎসা করা হবে তাই এই বিষয় গুলো না জানলে হয়ত আপনার সমস্যাও হতে পারে। তাই এখন আমরা PRP থেরাপি করার আগে যেসকল বিষয় জানতে হবে তা সম্পর্কে সংক্ষেপে জানবো। প্রথমেই যে বিষয়টি জানতে হবে সেটি হচ্ছে রক্তের সমস্যা, ইনফেকশন বা প্লেটলেটের ঘাটতি আছে কিনা। আপনার রক্তে যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি এই চিকিৎসা নিতে পারবেন না। তাই এই ধরনের সমস্যা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে সে বিষয় ডাক্তারের কাছে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
এরপর আপনি যে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিবেন সেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং সুবিধা সম্পূর্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিক ছাড়া চিকিৎসা নিতে গেলে আপনি নানান ভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই এই বিষয়ে সাবধান হতে হবে। এরপর যেহেতু এই চিকিৎসা বিভিন্ন ধাপে ধাপে করতে হয় তাই ডাক্তারের কাছে অবশ্যই জেনে নিতে হবে যে কতটি সেশন প্রয়োজন হবে এবং কত টাকা খরচ হবে। এই ধরনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে নেওয়া জরুরী একটি কাজ। থেরাপি নেওয়া শেষে কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে এবং কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না এই সকল বিষয়ে ডাক্তারের কাছে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
PRP থেরাপির করার পর কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়?
PRP থেরাপি সাধারণত একটি নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং এই চিকিৎসা নেওয়ার পর সাধারণত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে বিশেষ কিছু কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেহেতু এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রক্তের প্লাজমা আলাদা করে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয় তাই এই চিকিৎসার পরে আপনার সাময়িক কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এখন আমরা PRP থেরাপির করার পর কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এই বিষয়ে জানবো।
- ইনজেকশন দেওয়ার পর স্থানটি কয়েক ঘণ্টা বা এক থেকে দুই দিন ব্যথা করতে পারে।
- থেরাপির জায়গায় সামান্য ফোলা বা লাল হয়ে যেতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে মাথার ত্বক বা চামড়ায় চুলকানি হতে পারে।
- ইনজেকশনের জায়গা থেকে অল্প রক্ত পড়া বা দাগ হওয়া দেখা দিতে পারে।
- চিকিৎসার পর হালকা মাথাব্যথা বা মাথা ঘুরতে পারে।
- চিকিৎসার পর শরীরে সামান্য জ্বর বা অস্থিরতা দেখা দিতে পারে ইত্যাদি।
রাজশাহীতে PRP থেরাপি করতে কত টাকা খরচ হয়?
রাজশাহীতে PRP থেরাপি করতে কত টাকা খরচ হয় এটি সাধারণত নির্ভর করে আপনি যে হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিবেন তার উপরে। এখন আমরা সাধারণ জ্ঞান নেওয়ার জন্য জানার চেষ্টা করবো যে রাজশাহীতে PRP থেরাপি নিতে কত টাকা লাগে। সাধারণত চুল পড়া রোধে PRP থেরাপির জন্য প্রতি সেশনে ১৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আর জয়েন্ট পেইন বা আর্থ্রাইটিসের জন্য PRP থেরাপি করতে প্রতি সেশনে ৮০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
তবে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো যে উপরে যে টাকার পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি মূলত একটি সেশন ফি এর খরচ। অর্থাৎ এই চিকিৎসা বিভিন্ন ধাপে ধাপে করা হয়ে থাকে। প্রতিটি ধাপের জন্য আলাদা আলাদা দিনে চিকিৎসা করা হয় আর একেই মূলত সেশন বলা হয়। চুল পড়া বা জয়েন্ট ব্যথা যেকোন সমস্যার জন্য সাধারণত ডাক্তাররা অনেক গুলো সেশন নিয়ে থাকেন। এখন আমরা উপরে যে টাকার পরিমাণের কথা বলেছি সেটি হচ্ছে একটি সেশনের টাকা। এখন আপনার যদি ৩টি বা ৪টি সেশন দেওয়া হয় তাহলে প্রত্যেক সেশনের জন্য আলাদা ভাবে এই একই পরিমাণ টাকা দিতে হবে। তাই চিকিৎসা নেওয়ার পূর্বে ডাক্তারের সাথে ভালোভাবে কথা বলে নেওয়া ভালো যে আপনার এই চিকিৎসা করতে সর্বমোট কত টাকা লাগবে।
PRP থেরাপির ফলাফল কত দিনে পাওয়া যায়?
আপনার যদি চুল পড়া অথবা জয়েন্ট পেইনের কারণে PRP থেরাপি নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফলাফল কত দিনে পাবেন এটি নির্ভর করবে আপনার চুল পড়া অথবা জয়েন্ট পেইনের ধরণ, বয়স এবং চিকিৎসা পদ্ধতির উপর। আপনি যদি চুল পড়া সমস্যা সমাধান করার জন্য এবং নতুন চুল গজানোর জন্য PRP থেরাপি নিয়ে থাকেন তাহলে ফলাফল পেতে সাধারণত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেই সাথে স্পষ্ট পরিবর্তন দেখতে অর্থাৎ চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজানো বা ঘনত্ব বাড়ার লক্ষণ দেখা যায় প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস পর থেকে।
আর আপনি যদি জয়েন্ট পেইনের জন্য PRP থেরাপি নিয়ে থাকেন তাহলে ফলাফল পেতে সাধারণত সময় লাগতে পারে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ। এই সময়ের মধ্যে আপনি হালকা উন্নতি অনুভব করতে পারবেন। সেই সাথে জয়েন্ট ব্যথা থেকে সম্পূর্ন সুস্থ হতে ৬ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই ফলাফলা গুলো আরোও ভালো এবং দ্রুত পাওয়ার জন্য অনেক সম ডাক্তার তার রোগীদের একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুযায়ী খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সাথে পর্যাপ্ত পানি পান এবং স্ট্রেস কমানোর ফলে এই ফলাফল আরোও দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়।
পরিশেষেঃ PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর?
PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর? এই বিষয় নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার যদি চুল পড়া সমস্যা থেকে থাকে এবং আপনি যদি চান এই সমস্যা সমাধান করতে তাহলে PRP থেরাপি হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি চিকিৎসা। এই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগে ঢাকা সহ অন্যান্য শহরে যাওয়া লাগলেও এখন বর্তমানে রাজশাহীতেই এই চিকিৎসা করা হয়। আমরা উপরে চুল পড়া এবং জয়েন্ট পেইনের জন্য এই চিকিৎসা কতটুকু কার্যকর সেটির পাশাপাশি এই চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে শুরু করতে রাজশাহীতে এই চিকিৎসা করতে কত টাকা লাগবে এই সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আশা করা যায় যে উপরের লিখা মনোযোগ সহকারে পড়লে PRP থেরাপি রাজশাহীতেঃ চুল পড়া ও জয়েন্ট পেইন দূর করতে এই চিকিৎসা কতটা কার্যকর? এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। 250311
0 Comments