মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর একজন রোগীর ফিমারের মধ্যভাগে (middle shaft) গুরুতর ফ্র্যাকচার হয়। জরুরি সার্জারি করে তার ভাঙা হাড় ঠিক করা হয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সার্জারির পর তাকে ফিজিওথেরাপি শুরু করতে বলা হয়নি।
ফলে সময়ের সাথে সাথে তার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে—
হাঁটতে পারেনি
পায়ে ভর দিতে পারেনি
মাংসপেশি শুকিয়ে যেতে থাকে
ব্যথা ও কাঠিন্য বাড়তে থাকে
এভাবে দীর্ঘ ১২ মাস ধরে তিনি বিছানাবন্দি হয়ে ছিলেন। শারীরিক অক্ষমতার সাথে মানসিক যন্ত্রণা এবং হতাশা তাকে ঘিরে ধরেছিল।
তবে একটি ছোট সিদ্ধান্ত তার জীবন বদলে দেয়।
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে তিনি ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা জানতে পারেন, এবং অবশেষে পেশাদার ফিজিওথেরাপি শুরু করেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য—
মাত্র ২ দিন ফিজিওথেরাপি নেওয়ার পরে—
তার ব্যথা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়
পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে সক্ষম হন
দীর্ঘ এক বছরের পর শরীরে শক্তি ফিরে আসতে শুরু করে
এই পরিবর্তন প্রমাণ করে—
ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথা কমানোর চিকিৎসা নয়; এটি জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার চিকিৎসা।
কেন সার্জারির পর ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত জরুরি?
১. জোড়া লাগা হাড়কে ঠিকভাবে কাজে ফিরতে সাহায্য করে
সার্জারি হাড় ঠিক করে, কিন্তু ফিজিওথেরাপি হাড়কে চলাফেরা ও ওজন বহন করতে শেখায়।
২. মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া (muscle atrophy) রোধ করে দীর্ঘ সময় না হাঁটলে পা দ্রুত পাতলা হয়ে যায়।
ফিজিওথেরাপি মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।
৩. জোড়ার কাঠিন্য (stiffness) দূর করে সার্জারির পর হাঁটুর ও কোমরের stiffness স্বাভাবিক।
নিয়মিত থেরাপি mobility ফিরিয়ে আনে।
৪. রক্তসঞ্চালন বাড়ায় ও সেরে ওঠা দ্রুত করে হাড় heal হতে রক্তসঞ্চালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫. রোগীকে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয় অনেক সময় ভয়, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ সুস্থতাকে দেরি করায়।
ফিজিওথেরাপি রোগীকে কৌশলে সঠিকভাবে দাঁড়ানো-হাঁটার অভ্যাস করায়।
ফিজিওথেরাপি না করলে যে সমস্যা হয়
হাড় সঠিক alignment এ সেট না হওয়া
হাঁটার ক্ষমতা হারানো
স্থায়ী কাঠিন্য
পেশি শুকিয়ে যাওয়া
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা
হাঁটু, কোমর ও পিঠে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হওয়া
দুর্ঘটনা বা সার্জারির পর সঠিক সময়ে ফিজিওথেরাপি শুরু করা মানেই রোগীকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।
এই গল্পটি প্রমাণ করে—

0 Comments